পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল দেশের মোট আয়তনের দশ ভাগের একভাগ হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ এ এলাকা বিভিন্ন দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার ফলে অদুর ভবিষ্যতে কৃষিতে অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলই হতে পারে বাংলাদেশের ফলের বাগান, বললেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। ০৭ অক্টোবর ২০২২ খ্রি: তারিখ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বান্দরবান জেলার আয়োজনে ডিএই হলরুমে অনুষ্ঠিত রাঙ্গামাটি অঞ্চল ও চট্টগ্রাম জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাভূক্ত দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সচিব মহোদয় এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো: নাসিম হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। অনূষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বেনজীর আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব মহোদয় আরো বলেন সঠিক পরিকল্পনা থাকলে যেকোন প্রতিকুল অবস্থায়ও যে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরন বর্তমানের বাংলাদেশ। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষিতে বিগত কয়েক বছরে বিপুল অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিভিন্ন উদ্যানতাত্তিক ফল ফসল উৎপাদনে এ এলাকা এখন সারা দেশে আলাদা স্থান করে নিয়েছে। এখানে বর্তমানে আম, লিচু, মাল্টা, আনারস, কাজুবাদাম, কফির পাশাপাশি গোলমরিচ, এলাচি, আপেলের মত উচ্চমূল্যের বিভিন্ন ফসলও চাষ হচ্ছে। কৃষির অপার সম্ভাবনাময় এ এলাকার সার্বিক কৃষির উন্নয়নে বর্তমান সরকার বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া দূর্গম এলাকায় সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, উৎপাদিত কৃষি পন্যের পরিবহন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহন সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তার সংগে একটি দেশের সার্বভৌমত্বও জড়িত থাকে। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন- ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনায় যেসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে তা যদি সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায় তবে এ এলাকার কৃষিই পথ দেখাবে আগামীর বাংলাদেশকে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: বেনজীর আলম বলেন নব উদ্ভাবিত সকল সম্ভাবনাময় কৃষি প্রযুক্তি দ্রুততম সময়ে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের দোরগোড়ায়ার পৌছে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কৃষকদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরির মাধ্যমে সকল সেবা কার্যকরভাবে সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা হাতে নেওয়া হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। সে প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কৃষকের পাশে দাড়িয়ে উপযুক্ত সহায়তা ও সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবান জেলার উপপরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম। এছাড়া আরো মতামত ব্যক্ত করেন বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: লুৎফর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক মো: আক্তারুজ্জামান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক মো: নাসিম হায়দার।